………………………………………………………………………….
স্বাধীনতা তুমি নজরুলের ঐ বিদ্রোহী কবিতা।
স্বাধীনতা তুমি বিদ্রোহী ভীগুর ভগবান বিরোধিতা।
স্বাধীনতা তুমি সুকান্তের ঐ দূর গগনের চাঁদ।
স্বাধীনতা তুমি পিচ ঢালা পথে মরীচিকারই ফাঁদ।
স্বাধীনতা তুমি গোধূলি বেলায় হায়েনার কালো হাত।
স্বাধীনতা তুমি রফিক সালামের বৃথাই রক্তপাত!
স্বাধীনতা তুমি!
স্বাধীনতা তুমি বীরশ্রেষ্ঠের আত্মার অভিশাপ।
স্বাধীনতা তুমি অরণ্য পথে কেবলই বন্য শ্বাপদ।
স্বাধীনতা তুমি অমবস্যায় লুকিয়ে থাকা চাঁদ।
স্বাধীনতা তুমি লোকালয় মাঝে ফুঁসে ওঠা কালসাপ।
স্বাধীনতা তুমি!
স্বাধীনতা তুমি ধর্ষিতা বোনের ক্ষতে ভরা কালো রাত।
স্বাধীনতা তুমি নিঃস্ব মায়ের কুয়াশায় ঢাকা প্রভাত।
স্বাধীনতা তুমি!
স্বাধীনতা তুমি আয়না ঘর আর খুন-গুম হওয়া লাশ।
স্বাধীনতা তুমি কথা বললেই পশ্চাৎ দেশে বাঁশ।
স্বাধীনতা তুমি পথ শিশুদের ডাস্টবিনে পঁচা ভাত।
স্বাধীনতা তুমি ধনীর ঘরে আলো ঝলমলে রাত।
স্বাধীনতা তুমি!
স্বাধীনতা তুমি স্বৈরাচারের চাটুকারী সুশীলতা।
স্বাধীনতা তুমি তেলবাজদের অসীমীয় ক্ষমতা।
স্বাধীনতা তুমি খোলস বদলানো সুবিধাবাদীর দল।
স্বাধীনতা তুমি মুগ্ধ জননীর কেবলই চোখের জল।
স্বাধীনতা তুমি আবু সাইদের ব্যর্থ জীবন দান।
স্বাধীনতা তুমি টকশোতে ঝাড়া লম্বা লম্বা বয়ান।
স্বাধীনতা তুমি অধরা স্বপ্ন, কেবলই আপেক্ষিক।
স্বাধীনতা তুমি রক্ত নেশায় শুধুই সাইকোপ্যাথিক।
স্বাধীনতা তুমি মানবতা ভুলে ভয়ানক পাশবিক।
স্বাধীনতা তুমি আবরার আর বিশ্বজিতে প্যানিক।
স্বাধীনতা তুমি ভাতের ক্ষুধায় জীবন দেওয়া মানিক।
স্বাধীনতা তুমি, বলোতো আমায়
সাম্য কি নয় বীর সৈনিক?
কী দোষ ছিল? মারলে কেন?
জবাব দিতে হবে দৈনিক।
আসলে,
স্বাধীনতা তুমি মিছে দেশপ্রেম, পাপের রাজপ্রাসাদ।
স্বাধীনতা তুমি সুযোগ বিহনে কেবলই মানবতাবাদ।।
উৎসর্গঃ ২৪ এঁর সকল শহিদদেঁর প্রতি।